মোয়াজ্জেম সরকার রুবেল দিনাজপুর প্রতিনিধি।।
একটি বিমান (উড়োজাহাজ) তৈরি করে এলাকায় আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার আলমগীর ইসলাম। তার তৈরি করা বিমান উড়ানো দেখতে প্রতিদিন ভিড় করেন আশপাশের গ্রামের অনেক মানুষ।
আলমগীর ইসলাম উপজেলার খামারপাড়া ইউনিয়নের ভান্ডারদহ গ্রামের দিনমজুর-কৃষক আব্দুল মজিদের ছোট্ট ছেলে। স্বপ্ন ছিল প্রকৌশল বিষয়ে পড়াশোনার। কিন্তু অভাবের কারণে উচ্চ মাধ্যমিক স্তরেই থেমে যায় তার পড়াশোনা। অভাব-অনটনের সংসারে বিমান তৈরির টাকা কোথায় পাবেন তা নিয়ে দুশ্চিন্তা থাকলেও থেমে যাননি আলমগীর ইসলাম।
২৫ ফেব্রুয়ারি রোববার সকালে তার পরিবার সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালে উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে থেমে যায় তার পড়াশোনা। বাড়ির কাজ করা ছাড়াও চুক্তি ভিত্তিতে শ্যালোমেশিন দিয়ে ক্ষেতে পানি দেওয়া ও বিভিন্ন কাজ করেন তিনি। তিন ভাইয়ের মধ্যে ছোট এই যুবক প্রাইমারি স্কুলে পড়ার সময় থেকেই বিভিন্ন ইলেকট্রনিকস পণ্য তৈরির কাজে সময় ও অর্থ ব্যয় করেছেন। অনলাইন ও ইউটিউব থেকে ধারণা নিয়ে সময়ের সঙ্গে তার এই উদ্ভাবনী কার্যক্রম বৃদ্ধি পেয়েছে।
প্রায় তিন-চার বছর ধরে বিভিন্ন মডেলের বিমান তৈরি করে উড়ানোর চেষ্টা করেছেন। এতে সফল হয়েছেন গত বছর। আগে অনেক বিমান তৈরি করে ভেঙেছেন আবার নতুন করে তৈরি করেছেন বলে জানা যায়, সর্বশেষ তিনি তৈরি করেছেন ছেচনা মডেলের একটি বিমান। এটি গত ডিসেম্বর থেকে চূড়ান্তভাবে তৈরির কাজ করে ফেব্রুয়ারি মাসের শুরুর দিকে শেষ হয়। এরপরে বাড়ির পাশে খেলার মাঠে পরীক্ষামূলকভাবে বিমানটি উড়ালে সফলতা আসে।
প্রায় ১২ হাজার টাকা ব্যয়ে তৈরি ছোট বিমানের মূল বডি কর্কশিট দিয়ে তৈরি করেছেন। এ ছাড়া ট্রান্সমিটার, রিসিভার, ব্যাটারি, শক্তির জন্য ব্রাশ লেস মোটর ও ছোট ফ্যান এবং চাকা রয়েছে। একটি রিমোট ব্যবহার করে বিমানটি আকাশে উড়িয়ে নিয়ন্ত্রণ করা হয়।
উদ্ভাবক আলমগীর জানান, তার বিমানটি বাংলাদেশ বিমানের আদলে তৈরি করেছেন। ছোটবেলার স্বপ্ন ছিল বিমান তৈরির, সেটি আজ পূরণ হয়েছে। তবে আমার একটি ল্যাপটপ ও আর্থিকভাবে সক্ষমতা থাকলে এই ছোট বিমানটি আরও উন্নত করা যেত। সেই সঙ্গে সহায়তা পেলে আমার শৈশবের এই স্বপ্ন পূরণের ধাপ আরও এগিয়ে যেত।
খামারপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান আবুবকর সিদ্দিক চৌধুরী বলেন, অসাধারণ প্রতিভার অধিকারী আলমগীর। একটা বড় আবিষ্কার