সময়ের উন্নয়ন ডেস্ক:-
বান্দরবানের লামায় ১লা মার্চ সকাল সাড়ে ১০ টায় বীমা কর্মিদের সমন্বয়ে শোভাযাত্রার মাধ্যমে জাতীয় বীমা দিবসের কার্যক্রম শুরু হয়। লামা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এর সভাপতিত্বে হল রুমে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান অতিথি ছিলেন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ জাহেদ উদ্দিন। বিশেষ অতিথি ছিলেন, ভাইস চেয়ারম্যান মিল্কি রানী দাশ, সহকারী তথ্য অফিসার মোঃ রুকনুজ্জামান, পরিসংখ্যান অফিসার। “করবো বীমা গড়বো দেশ, স্মার্ট হবে বাংলাদেশ” এই স্লোগানকে সামনে রেখে স্বাগতিক বক্তব্য দেন, লামা প্রেসক্লাব সেক্রেটারি- বীমা প্রতিনিধি সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স ইউনিট ম্যানেজার মো: কামরুজ্জামান। অলোচনায় আরো অংশ নেন, সোনালী লাইফ ইন্স্যিুরেন্স ইউনিট ম্যানেজার আতাউর রহমান, ইউনিট ম্যানেজার মো: আবুল হাশেম, আস্থা বীমা প্রতিনিধি মহিউদ্দিন প্রমূখ। দিবসের অনুষ্ঠানে বক্তারা বীমা সম্পর্কে সাধারণ মানুষের কাছে বীমার ইতিবাচক বিষয়গুলো তুলে ধরার আহবান জানান।
বীমার মাধ্যমে ব্যক্তি বা বীমা প্রতিষ্ঠান অর্থের (প্রিমিয়ামের) বিনিময়ে মক্কেলের আংশিক বা সমস্ত সম্ভাব্য ঝুঁকি গ্রহণ করে থাকে। এটা অনিশ্চিত ক্ষয়ক্ষতি এড়ানোর জন্য ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার একটি অংশ।
বীমা শিল্প বিকাশের মাধ্যমে সমাজে দারিদ্রতা দূরীকরনসহ জান-মালের ঝুঁকি এড়ানো সম্ভব। স্বাধীনতার পর জীবন বীমার সুফল দেশের সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়ার উদ্দেশ্যে বঙ্গবন্ধুর সরকার ১৯৭২ সনে রাষ্ট্রপতির ৯৫ নং আদেশ বলে বাংলাদেশের বীমা শিল্প জাতীয়করণ করা হয়। দেশের প্রায় দুই কোটি মানুষ বিভিন্ন ধরনের বীমার আওতায় রয়েছেন, যদিও অনেকে বীমা সম্পর্কে ইতিবাচক ধারণা পোষণ করেন না। আলোচকরা বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের উদ্ভাবন-প্রচেষ্টা প্রযুক্তির ছোঁয়ায় বীমা শিল্প গনমানুষের আস্থার জায়গায় দাঁড়িয়েছে।
দেশীয় বেসরকারি এবং প্রতিষ্ঠার অল্প সময়ের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখে চলছে এই বীমা শিল্পটি।
২০২১ সালে আন্তর্জাতিক ও জাতীয় পুরুস্কার পেয়ে “সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স” দৃষ্টান্ত রেখেছেন। এছাড়া সরকারি, বেসরকারি আরো বীমা কোম্পানীগুলোও গ্রাহকের চাহিদা বিবেচনায় আইডিআরএ অনুস্মরন করত: সনাতনী পদ্ধতি পরিহার করে আধুনিক পথে এগুচ্ছে। এর ফলে বীমা শিল্প বৈশ্বিক প্রতিযোগিতার পথে পা রেখেছে বাংলাদেশ।
প্রসঙ্গত: জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানও একজন বীমা কর্মি ছিলেন। ১৯৬০ সালের ১ মার্চ পাকিস্তানের আলফা ইনস্যুরেন্স কোম্পানিতে যোগ দেন হাজার বছরের এই শ্রেষ্ট বাঙ্গালী। বঙ্গবন্ধুর যোগদানের ওই দিনটিকে জাতীয় পর্যায়ে স্মরণীয় করে রাখতে ২০২০ সালের ১৫ জানুয়ারি বাংলাদেশের বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের সুপারিশক্রমে প্রতিবছর ১লা মার্চকে জাতীয় বীমা দিবস ঘোষণা করে বর্তমান সরকার। সভায় বক্তারা বীমা নিয়ে তিক্ত অভিজ্ঞতা ব্যাক্ত করে, সনাতনী পদ্ধতি পরিহারের অনুরোধ জানান।