সময়ের উন্নয়ন ডেস্ক:
লামা শহরে শতবর্ষী একটি পুকুর ব্যক্তি মালিকানাধীন রেকর্ডীয় দাবি করে দখল ও দূষনে প্রতিযোগিতা অব্যাহত রয়েছে। শতবর্ষী জলভান্ডার এই পুকুরটি দখল দূষন বন্ধে বান্দরবান বাজার ফান্ড প্রশাসন নিরব। দুই পাড়ের কতিপয় বাসিন্দারা যে যার মতন করে দু’শ বছরের পুরাতন পুকুরটি ময়লা আবর্জনা ভরাট অতপর দখল করে নিয়েছেন। কিন্তু কোনো মহল দখলদারদের আগ্রাসী তৎপরতা বন্ধে এগিয়ে আসতে দেখা যায় নাই। অথচ আইনে স্পষ্ট বলা আছে, ‘পুকুর জলাশয় ব্যক্তি মালিকানাধীন হিসেবে রেকর্ড থাকলেও পুকুরগুলো জলাধার সংরক্ষণ আইন-২০০০ এর ২ (চ) ধারায় প্রাকৃতিক জলাধারের সংজ্ঞাভুক্ত করা হয়েছে। ব্যক্তি মালিকানাধীন পুকুরও চাইলেই ভরাট করে ফেলা যাবে না। হাইকোর্ট বেঞ্চের এ সংক্রান্ত রায় রয়েছে। কিন্তু পার্বত্য বান্দরবানের লামা পৌর শহরের কেন্দ্রীয় হরিমন্দির এলাকায় শতবর্ষী একটি পুকুর ভরাট, দূষণ ও দখলদারদের কবলে হারিয়ে যাচ্ছে। এই দূষন দখল অনিয়ম বন্ধে কোনো মহলের ভূমিকা লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। তবে সাংবাদিকদের লেখালেখির সূত্র ধরে ১৪ মার্চ পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারীপরিচালক সরেজমিন তদন্তে এসে দখল দূষণের বাস্তবতা দেখতে পান। সরেজমিনে দেখাযায়, গোপন চৌধুরী নামের বাসিন্দা পুকুরের পানিতে মাটি ভরাট করে বিল্ডিং নির্মানয়ের কাজ করছে। গোপন চৌধুরী জানান, পুকুরের পাড়ে তাদের পুকুরের পানির অংশ পর্যন্ত ৪০ ফুট বাজার ফান্ডের কবলিয়তের জায়গায় রয়েছে। সেখানে নতুন ভবন তৈরি করছেন। এ সময় পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক পুকুর ভরাট কার্যক্রম বন্ধ করার জন্য বলেন। একই সময় পরিবেশ অধিদপ্তরের এই কর্মকর্তা সাংবাদিকদেরকে জানান, এই ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা নেয়া হবে। পুকুর পাড়কে বাজার ফান্ড প্রশাসন কিভাবে প্লট হিসেবে বরাদ্দ দিলো; সে সংক্রান্ত জানতে বাজার ফান্ড প্রশাসনের একজন কর্মকর্তাকে মুঠো ফোনে কল করা হলে, তিনি রঙ নাম্বার বলে বিষয়টি এড়িয়ে যান। ‘পরিবেশ আইন-১৯৯৫ ও জলাধার সংরক্ষণ আইন-২০০০ এর বিধান অনুসারে যে কোনও জলাশয় ভরাট নিষিদ্ধ এবং ব্যক্তিগত পুকুর হলেও তা জলাধারের সংজ্ঞার অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় তা ভরাট করা যাবে না।’ অথচ লামা শহরে দু’শ বছরের স্মৃতি ধরে রাখা প্রথম পুকুরটি ভরাট প্রতিযোগিতায় নিঃশেষ প্রায়। পুকুরটির সীমানা বেআইনিভাবে অতিক্রম ও মাটিদ্বারা ভরাট করা থেকে বিরত থাকা এবং পুকুরটি রীতিমতো সংস্কার ও নিরাপদ পানি সংরক্ষণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার দাবি করেছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। একই সঙ্গে বান্দরবান জেলা পরিষদের বাজার ফান্ড প্রশাসনের দুর্ণীতিবাজ কেরানি বা মাঠ পর্যায়ে দায়িত্বে অবহেলাকারীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা করার দাবি উঠেছে। একই সাথে পানির উৎস পুকুরটি সংস্কারের দাবি করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।