সময়ের উন্নয়ন ডেস্ক:-
‘আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে এবার নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারবে সাধারণ ভোটাররা।’ সরকার উচ্চ পর্যায় থেকে এমন ঘোষণা আসার পর, আসন্ন উপজেলা পরিষদ -২৪ এ সাধারণ ভোটারদের ব্যাপক অংশ গ্রহন হবে আশা করছেন সবাই।
৮ এপ্রিল সোমবার লামায় সাংবাদিকদের সম্মানে স্বতন্ত্র প্রার্থী জাকির হোসেন মজুমদার কর্তৃক ইফতার পার্টির আলোচনা সবাই ৱামা প্রেসক্লাব সেক্রেটারি মোঃ কামরুজ্জামান, কোনো ধরণের প্রভাবমুক্ত পরিবেশে আসন্ন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।
লামা উপজেলা পরিষদ নির্বাচন-২৪ এ সম্ভাব্য চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী মোঃ জাকির হোসেন মজুমদার লামা পৌরসভা বীর বাহাদুর কানন এর তংথমাং রেস্টুরেন্টে ইফতার পার্টি দিয়েছেন।
এলাকার সাংবাদিক ও সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ ইফতার পার্টিতে অংশ নেন। এসময় স্বতন্ত্র প্রার্থী জাকির হোসেন মজুমদার এক সংক্ষিপ্ত আলোচনায়, এলাকাবাসী সকলের দোয়া ও সমর্থন চেয়েছেন।
প্রসঙ্গত: পার্বত্য লামা আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন-২৪ এ হেভিওয়েট স্বতন্ত্র প্রার্থী হচ্ছেন ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদের দু’বারের সাবেক চেয়ারম্যান জাকের হোসেন মজুমদার।
তাঁর পিতা মরহুম আমির হোসেন মজুমদার লামা উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নে নির্বাচিত হয়ে ৫ বার চেয়ারম্যান হিসেবে সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে বিগত ২০১১ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন জাকির হোসেন মজুমদার।
এর আগে তার পিতা আমির হোসেন মজুমদারকে বিগত ১৯৮৫ সালে প্রথম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থীতা করার জন্য তৎসময়ে লামার কিংবদন্তি আলীমিয়াসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ সমর্থন দিয়েছিল।
কিন্তু সিনিয়র নেতৃবৃন্দের প্রতি শ্রদ্ধা পোষন করে আমির হোসেন মজুমদার নিজেই ওই সময় আলীমিয়াকে সমর্থন দিয়েছিলেন।
এর পর ১৯৮৯ সালে আমির হোসেন মজুমমদার বান্দরবান স্থানীয় সরকার পরিষদ নির্বাচনে সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে সদস্য নির্বাচিত হন।
১৯৯৭ সালে ২রা ডিসেম্বর সরকার ও জেএসএস এর মধ্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তিতে পাহাড়ে বসবাসকারী বাঙ্গালীদের সাংবিধানিক অধিকার ক্ষুন্ন হওয়ায়, ৫৪% বাঙ্গালীর অধিকারের প্রশ্নে পাহাড়ে রাজনীতির নতুন মেরুকরণ হয়।
তৎসময়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি সংক্রান্ত বিষয়ে দেশের সর্বোচ্চ আদালতে রিট মামলা হয়। সেইসব আন্দোলন ও মামলায় আমির হোসেন মজুমদারের ভূমিকা এই অঞ্চলের মানুষের অন্তরে রেখাপাত করে। ফলশ্রুতিতে তিঁনি সার্বজনীন একজন নেতা হয়ে উঠেন।
গত ২০০৮ সালের ২৭ শে মার্চ আমির হোসেন মজুমদারের মৃত্যুর পর তার ছেলে জাকের হোসেন মজুমদার, বাবার জনপ্রিয়তা ও নিজের শিষ্টাচার, সততা, বুদ্ধিমত্তা দিয়ে দল মত নির্বিশেষে মানুষের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেন।
আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন-২৪ এ দলীয় প্রতীক বিহীন প্রভাবমুক্ত হবে বলে সরকারের উচ্চ মহল থেকে ঘোষণা এসেছে, সে জন্য জাকের হোসেন মজুমদার স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করবেন মর্মে মাট চষে বেড়াচ্ছেন।
এদিকে সাধারণ ভোটারেরা ভোটের সমীকরণ এভাবে করছেন যে, সজ্জন ও ব্যক্তি ইমেজের কারনে তিনি জনতার অন্তরে ঠাঁই করে নিয়েছেন। সব মিলিয়ে জাকের হোসেন মজুমদারকে ভোটমাঠে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে বিবেচনা করছেন সাধারণ মানুষ।