সময়ের উন্নয়ন ডেস্ক:-
লামা বাজারে অগ্নিকান্ডে কয়েকটি দোকান ও আবাসিক ভবন পুড়ে গেছে। ফায়ার সার্ভিসের তৎপরতায় আল্লাহর রহমতে বড় ধরণে ক্ষতি থেকে বেঁচে গেল শহরবাসী। মঙ্গলবার ৯ এপ্রিল ২৯ রমজান ইফতারের পর সবাই মাগরিবের নামাজ আদায় করছেন; ঠিক সেই মূহুর্তে আগুনের সূত্রপাত হয়। লামা বাজারের পুরাতন বাজার ঘাট গলির উত্তরদিকে কোহিনুর বোর্ডিং ঘেঁষে একটি ভাতের দোকানের পেছন থেকে অগ্নিকান্ডের সূচনা বলে জানাগেছে। মূহুর্তেই আগুনের লেলিহান শিখা পূর্ব ও উত্তর দিকে ছড়িয়ে যায়। তার কিছুক্ষনের মধ্যে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি এসে নিয়ন্ত্রনে কাজ শুরু করেন। এর কিছু সময় পর আলীকদম উপজেলার ফায়ার সার্ভিস ইউনিট ও যুক্ত হয়। এর মধ্যেই আগুন নিয়ন্ত্রনে নিয়ে আসে ফায়ার সার্ভিস অগ্নি নির্বাপক দল। টিন সেট সেমিপাকা ৪টি দোকান ও পেছনে কয়েকটি আবাসিক স্থাপনা পুড়ে যায়। এছাড়া শহরের উত্তর পশ্চিমের কয়েকটি দোকানের আতঙ্কিত ব্যবসায়ীরা বাসাবাড়ির ও দোকানের মালামাল সরিয়ে নিতে গিয়ে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ক্ষতির পরিমান জানাযায় নাই, তবে অনুমান ভিত্তিতে অনেকেই ধারণা করছেন ক্ষতির পরিমান ৩০-৩৫ লাখ টাকা হবে। অপরিকল্পিত আবাসন ব্যবস্থার ফলে লামা শহরের বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের পেছনের পয়েন্টেগুলোতে চরম ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থা বিরাজ করছে। যাতায়তের পথ রোধ করে বাসিন্দারা ঝুপড়ি ঘর তৈরি করে ভাড়া দিয়েছে। এতে তাৎক্ষণিক কোনো দুর্ঘটনা মোকাবেলা করা অসাধ্য বলা যায়। এছাড়া পানির উৎস নেই কোথাও। শত গজের মধ্যে মাতামুহুরি নদী রয়েছে বটে কিন্তু জনবসতির গিজগিজে অবস্থা পথঘাট না থাকায় সে সুবিধা নেয়াও কঠিন। এই বাস্তবতায় শহর ও শহরবাসীর জীবন রক্ষায় পানির উৎস পুকুর জলাশয় সংরক্ষণ আইনের বাস্তবায়ন করতে হবে। লামা বাজারে শত বর্ষী পুকুরটি দূষন দখল থেকে রক্ষা করতে হবে।