বান্দরবানের লামায় দুই বোনকে বেদম প্রহার ও শ্লীলতাহানি করে লুটতরাজ চালায়। নিয়ে যায় স্বর্নালংকার ও দামী মোবাইল ফোন। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলা ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের বুড়ির ঝুমস্হ কাজী নুরুল আনোয়ারের বাড়িতে। ভিকটিমের ভাই কাজী আনোয়ার মুঠোফোনে জানায়, ১৪ জুন গভীর রাতে একদল সশস্ত্র ডাকাত দরজা ভেঙে তাদের ঘরে প্রবেশ করে। এর পর লুটেরার দল আনোয়ারের ছোট বোন রহিমা বেগম(২৮) ও তসলিমা আক্তার (২৬) কে জোর পূর্বক অপহরণ ও ধর্যনের চেষ্টা করে। ওই সময় তারা চিৎকার ও আহাজারি করতে থাকলে দস্যুরা অস্ত্রের বাট দিয়ে তাদের দুই বোনকে শরীরের বিভিন্ন স্হানে আঘাত করে। এতেও তারা ক্ষান্ত হননাই দুই বোনকে বিবস্ত্র করে শ্লীনতাহানি, অপহরণ ও ধর্যনের চেষ্টা করে। একই সময় দস্যুরা ৩ লাখ ৬ হাজার টাকার স্বর্ণালংকার ১ টি মোবাইল ফোন নিয়ে যায়। এ ঘটনায় লামা থানায় অভিযোগ করেছেন আনোয়ারের পরিবার। ঘটনার রাতে আনোয়ার বাড়িতে ছিলো না। ভিকটিমাইজড দু’বোন দস্যুদের দু’তিনজনকে চিনেছেন বলে দাবি করেছেন। কাজী আনোয়ার বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কনস্ট্রাকশন ব্যাটালিয়নের অধীনে একজন নির্মান ঠিকাদার। সে জানায়, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে একটি চক্র তাকে এর আগেও বহুবার প্রাণ নাশের চেষ্টাসহ বিভিন্ন ঘটনায় মিথ্যা অভিযুক্ত করে হয়রানি করে আসছে। ভূমি সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে মুলত তাকে নানানভাবে ঘায়েল করার ষড়যন্ত্র করছে ওই মহলটি। প্রসঙ্গতঃ কাজী আনোয়ার বিগত প্রায় দেড় বছর আগে পাহাড়ি সন্ত্রাসী কর্তৃক থানচিতে অপহরণ হয়েছিল। পরে সেনাবাহিনীর অভিযান করে তাকে উদ্ধার করেন। আনোয়ার জানায়, ওই অপহরণকারীদের সাথে রয়েছে তার প্রতিবেশি শত্রুদের গভীর সম্পর্ক। সে আরো জানায় থানায় এখনো মামলা নেয় নাই, যার ফলে সে কোর্টে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে। এ বিষয়ে লামা থানার ওসি জানায়, সত্যেকারের কোনো অঘটন নিয়ে থানায় অভিযোগ হলে পুলিশ সেভাবে ব্যবস্থা নিয়ে থাকে। উক্ত ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে কাউকে হয়রানির উদ্দেশ্য রয়েছে কিনা; সে ব্যপারটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।